+8801303535373
No products in the cart.
গাজা—
ধ্বংসের ধুলোয় অঙ্কিত মৃত্যুর ক্যানভাস;
যেখানে ছাই এঁকে যায় জীবনের অন্তিম নিঃশ্বাস
সূর্যের আলো নয়—
এখানে জ্বলে উঠে বিস্ফোরণের অগ্নিগোলক
আকাশের নীল মিশে যায় লালে,
কাঁপে মানুষের পলক।
শিশুরা বারুদের আগুনে খেলনা বানায়—
রক্তের তুলিতে লেখা হয় জীবনের প্রথম পাঠ,
ধ্বংসস্তুপের রাবলে তৈরি হয় তাদেরই খেলার মাঠ।
সভ্যতার চোখ মোড়ানো কালো ন্যাকড়ায়—
চুক্তির কালো অক্ষরে তারা মানবাধিকারের
কাগজ মাখাতে ব্যস্ত।
জাতিসংঘের মাইকে বাজে হিমশীতল দীর্ঘশ্বাস;
ক্যাফের ম্রিয়মাণ আলোয় মোমবাতির নিরর্থক নৃত্য;
আহা—কী মহৎ শোকপ্রকাশ!
বারুদের গন্ধে হেসে উঠে তাদেরই ভণ্ডামি,
আর বোমার বিকট শব্দে চাপা পড়ে কান্নার সুর
কর্পোরেট হাসিতে ঝলসে ওঠে ক্ষমতার অসুর।
মুসলিম উম্মাহ—
যেন এক বিচ্ছিন্ন নদীধারা,
আমাদের বিপ্লব কেবল চায়ের কাপে,
পোস্টার আর সেলফির চাপে
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নেই, শৌর্য নেই,
আছে কেবল শ্লোগান; শব্দপাত; বজ্র নাদ—
ঐক্যের ডাক মিলিয়ে যায় সেই নিনাদের শূন্যতায়।
ইতিহাস!
লিখে রাখো—
রক্তের সাগর পার হয়ে
প্রতিবাদের শেষ বিন্দু দিয়ে
গাজা লড়ল—একা;
ধূলিসাৎ হওয়া স্বপ্নের মাঝেও
জেগে ছিল তাদের শেষ প্রত্যয়,
অথচ—
জায়নবাদের জুয়ায় বিক্রি হলো বিশ্ববিবেক;
মুসলিম হৃদয় নিমগ্ন হলো এক দীর্ঘ গভীর তন্দ্রায়;
যেখানে কোনো স্বপ্ন নেই, আলোড়ন নেই;
আছে কেবল এক নিদারুণ লজ্জা।
গাজার রোরুদ্য আর্তচিৎকার
আজও সশব্দে বহমান
আমাদের কানে পোতায় না;
আমরা কেবল দেখি—দেখি আর দেখি;
মাত্র কয়েক দশকের এক নাবালক কেউটে চোখের সামনে অনায়াসে গিলে খাচ্ছে শত শত সহস্র বছরের আদি ভিটে;
গাযযা—মুসলিম উম্মাহর ললাটে লেপ্টে থাকা অনিবার্য লজ্জা।
আত্মবিক্রয়ের জুয়া
ওয়ালী রাহমান
২০-০৯-২০২৫; শনিবার।