+8801303535373
No products in the cart.
মানুষ বেঁচে থাকে আস্থার ভরসায়;
করমর্দন করে, হাতে হাত মেলায়,
হাসির আলোয় করে
বিশ্বাসের বিনিময়।
হাতে হাত মেলানো—
এ শুধু আঙুলের স্পর্শ নয়—
যেন নদীর স্রোতে ভাসানো নৌকো;
দুই তীরে তার প্রতিশ্রুতির সবুজ।
কিন্তু মাঝনদীতে হঠাৎ দেখা দেয় ঝড়,
কাঠামোর ভেতর লুকোনো সাপ
উঁকি দেয় আঙুলের ফাঁক থেকে—
যার বিষদাঁত ফুঁড়ে দেয়
বিশ্বাসের নরম মর্মর।
এ পৃথিবী—
এক বিশাল মেলা,
যেখানে সম্পর্কের দোকানদাররা
আলোর প্রদীপ জ্বালায় মুখে,
অথচ ভেতরে রাখে বিষের আধার।
প্রতিটি করমর্দন আসলে এক গোপন চুক্তি;
যেখানে
সব হাসি আলো নয়,
সব করমর্দনও উষ্ণতা নয়।
হৃদ্যতার মুখোশে লুকায় কালো ছায়া,
সহানুভূতির আড়ালে ব্যাদান
হয়ে থাকে বিষে ভেজা দাঁত।
করমর্দনের উষ্ণতা পরিণত হয়
রক্তক্ষরণের শীতলতায়।
কখনো মনে হয়—
মানুষ যেন চন্দ্রালোকে দাঁড়ানো বৃক্ষ,
বাইরে সবুজ, ভেতরে পোকার বাসর;
কখনো মনে হয় আয়না—
যেখানে প্রতিফলিত সহাস্য কায়া,
অথচ পেছনে মূর্তমান বিষম ছায়া।
যদিও—
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা
জন্ম নিয়েছে করমর্দনের ভেতর থেকেই,
তবুও মানুষ হাত বাড়ায়;
কারণ—আস্থাহীন পৃথিবী
নক্ষত্রহীন আকাশ।
সত্যিকারের আস্থা হলো সেই আলো,
যা অন্ধকারের বুক চিরে
মানুষকে পৌঁছে দেয় মানুষে।
হয়তো কোনো একদিন,
কোনো এক করমর্দন হবে সত্যিকারের নদী—
যেখানে জল থাকবে বিশুদ্ধ,
আর সাপেরা নিঃশেষিত হবে সময়ের গর্ভে;
যেখানে বিশ্বাস হবে বাতাসের মতো স্বচ্ছ,
আর মানুষ—মানুষের হাতেই
ফিরে পাবে আত্মার উষ্ণতা।
৩০/০৯/২০২৫; মঙ্গলবার